বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগে জয়নব বেগম নামে এক রোগীর স্বজনদের সঙ্গে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার (২১ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি হন অন্তঃসত্ত্বা জয়নব বেগম। রাত ৯টার দিকে তার স্বামী আসলাম আলী দায়িত্বরত চিকিৎসকদের কাছে সুচিকিৎসার কথা বললে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এ সময় ধাক্কাধাক্কির এক পর্যায়ে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মারপিট শুরু হয়। আসলাম আলী মুঠোফোনে বলেন, আমার স্ত্রীর পেটে ব্যথার চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকদের কাছে যাই।

কিন্তু তারা কোনো কথা শুনছিলেন না। এ সময় বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে তারা উত্তেজিত হয়ে আমাদের মারধর শুরু করেন। মারধর করার সময় অসুস্থ স্ত্রী জয়নব এগিয়ে এলে তাকেও লাথি মারে তলপেটে। ঘটনার পর স্ত্রীকে মেডিকেল থেকে নিয়ে শহরের ইসলামী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখানকার চিকিৎসকরা জানিয়েছে, তলপেটে আঘাত পাওয়ায় রক্তপাত হচ্ছে। ডাক্তার তার চিকিৎসা দিচ্ছেন। এ বিষয়ে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক জানান, ওই রোগীর স্বজনরা সুচিকিৎসা হচ্ছে না- এমন অভিযোগ তুলে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সাথে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। তবে রোগীর স্বজনদের মারপিটের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক শামিম জানান, মারধরের ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় রোগীর স্বজনদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কির এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। স্বজনরা রোগীকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে চলে গেছে। শজিমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, চিকিৎসককের সঙ্গে রোগীর স্বজনদের হট্টগোল হয়েছিল। ওই সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তারাও হট্টগোলে জড়িয়ে পড়েন।

তবে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি, শুধু ধস্তাধস্তি হয়েছে। তিনি বলেন, অন্তঃসত্ত্বা নারীর পেটে লাথি মারার কোনো ঘটনা ঘটেনি। বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ জানান, রোগীর স্বজনদের সঙ্গে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সুচিকিৎসা নিয়ে হাতাহাতি হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এদিকে ইসলামী হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাজেদুর রহমান জুয়েল জানান, তলপেটে আঘাত লাগার কারণে রক্তপাত হয়েছে।